শিরোনাম
জ্বলছে সুন্দরবন, আগুন নেভাতে ভোরের অপেক্ষা যুক্তরাষ্ট্রে ফিলিস্তিনপন্থিদের বিক্ষোভ জয় দিয়ে বিশ্বকাপ প্রস্তুতি শুরু বাংলাদেশের ইউরোপে তিন বছরে ৫০ হাজারের বেশি অভিবাসী শিশু নিখোঁজ পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল ভারত সরকারের সমালোচনামূলক গান, ইরানি র‍্যাপারের মৃত্যুদণ্ড যে গ্রামের বাসিন্দারা প্লেনে চড়েই অফিস-বাজারে যান! টিকটক নিষিদ্ধ হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২০টির বেশি অঙ্গরাজ্যে হুমায়ূন আহমেদ সাহিত্য পুরস্কার পেলেন ইমদাদুল হক মিলন ও মাহবুব ময়ূখ রিশাদ বিশ্বসেরার স্বীকৃতি পেল ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর দক্ষিণ ব্রাজিলে ৮০ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা নিভে গেল বাতিঘর..... গুগল-অ্যাপলকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ড অ্যামাজন পড়াশোনা শেষে ব্রিটেনে থাকতে পারবেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা
Update : 9 October, 2018 23:03
সাক্ষাতকারে বিশিষ্ট ব্যবসায়ি রাজ হামিদ:

এখন থেকে আমেরিকার হলগুলোতে নিয়মিত বাংলা সিনেমা দেখা যাবে

এখন থেকে আমেরিকার হলগুলোতে 
নিয়মিত বাংলা সিনেমা দেখা যাবে

বিশেষ প্রতিনিধি: প্রবাসে বাংলা সংষ্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে প্রবাসী বাঙালীদের নিয়মিত বাংলা সিনেমা দেখার সুযোগ করে দিতে হবে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বিশিষ্ট বাংলাদেশি ব্যবসায়ি ও সংগঠক রাজ হামিদ। দি নিউ ইয়র্ক মেইলের সাথে আলাপচারিতায় তিনি জানিয়েছেন, বিদেশে প্রত্যেক্যেই রাত দিন কঠোর পরিশ্রম করে। ছুটির দিনে বেশিরভাগ মানুষই পরিবার নিয়ে ঘুরতে বের হন বা সাংষ্কৃতিক অঙ্গনে নিজেকে মেলে ধরেন। বিনোদনের ছোঁয়ায় শরীর আর মনের ক্লান্তি দূর করতে ছুটে বেড়ান এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায়। 

তিনি বলেন,  এখানকার সিনেমা হলগুলোতে নিয়মিত বাংলা ছবি না পাওয়ায় প্রবাসী অনেক বাঙালী পরিবার নিয়ে ছুটির দিনে ইংরেজি সিনেমা দেখেন। একারণে প্রবাসে দেশিয় সংষ্কৃতি অনেক পিছনে পড়ে যাচ্ছে। এজন্য এখন থেকে প্রতি মাসে না হলেও আমেরিকার বাঙালী অধ্যুষিত শহরগুলোতে প্রতি দুই মাসে একটি করে বাংলা সিনেমা প্রদর্শনের জন্য উদ্যোগ নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। এখন থেকে আমেরিকার সিনেমা হল গুলোতে নিয়মিত বাংলা সিনেমা দেখা যাবে বলেও প্রবাসীদের আশ্বস্থ করেন তিনি।  

রাজ হামিদের বাড়ি টাঙ্গাইলের নাগরপুর থানার ধুবুরিয়া গ্রামে। ১৯৮৫ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে পাশ করে দু’বছর সরকারি চাকরি করেছেন চিকিৎসক হিসেবে। তারপর উচ্চ শিক্ষার জন্য পড়ি জমান আমেরিকায়। ইউনিভার্সিটি অফ লস এঞ্জেলেস থেকে পাবলিক হেলথ বিভাগে মার্স্টাস করেন ১৯৮৯ সালে। এরপর থেকে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে শুরু করেন সান ফ্রান্সিসকোতে। শুরু করেন হোটেল ব্যবসা। সাংগঠনিক দক্ষতা আর সাংষ্কৃতিক অঙ্গনে পদচারনার কারণে অল্পদিনেই তিনি হয়ে উঠেন বাঙালী কমিউনিটির অতি পরিচিত মুখ। তিনি বায়োস্কোপ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার।
রাজ হামিদ বলেন, বাংলা ছবির প্রসারের জন্য আমেরিকায় একটি ফ্লিম সোসাইটি করতে চাই। এখান থেকে অনেক মেধাবী প্রজন্ম তাদের কাজের মাধ্যমে বাংলা সংষ্কৃতিকে আমেরিকাসহ বিশ্বের দরবারে তুলে ধরার সুযোগ পাবে। প্রবাসে বাংলা সাহিত্য-সংষ্কৃতিকে এগিয়ে নিতে হলে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। 
তিনি বলেন, বাংলাদেশে চলচিত্রের অবস্থা খুবই নাজুক। আগের মতো সাধারণ মানুষ এখন আর হলে গিয়ে সিনেমা দেখে না। তবে প্রবাসে এই শিল্পটি বাঁচিয়ে রাখার যথেষ্ঠ সুযোগ আছে। যারা বিদেশে থাকে দেশের সংষ্কৃতি, সাহিত্য, ইতিহাস-ঐতিহ্য তাদের সবসময় হাতছানি দিয়ে যাকে। 
বাংলা ছবিকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে প্রবাসী বাঙালীদের নিয়মিত হলমুখো করতে হবে জানিয়ে রাজ হামিদ বলেন,   অন্যান্য ছবির পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের ছবি দেখাতে পারলে এখানকার নতুন প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস জানতে পারবে। 
বিদেশের বাজারের কথা চিন্তা করে ছবি বানানোর জন্য তিনি দুই বাংলার সিনেমা পরিচালক ও প্রযোজকদের প্রতি আহবান জানান। আর প্রবাসের নতুন প্রজন্মের কথা চিন্তা করে অবশ্যই ইংলিশ সাবটাইটেল রাখারও অনুরোধ জানান তিনি। 
বিশিষ্ট এই বাঙালী ব্যবসায়ি আরো বলেন, ইতিমধ্যে বাংলাদেশ ও ভারতের ৭টি বাংলা সিনেমা আমেরিকার বিভিন্ন শহরের সিনেমা হলে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করেছি। এর মধ্যে ভুবনমাঝি, ভালোবাসার বাড়ি, স্বপ্নজাল এবং সর্বশেষ ভারতের বিখ্যাত পচিালক লিনা গাঙ্গুলির বহুল আলোচিত ছবি ”মাটি” ক্যালিফোর্নিয়া ও শিকাগোর কয়েকটি শহরে প্রদর্শিত হয়েছে। সবক’টি সিনেমা হলই ছিলো দর্শকে পরিপূর্ণ। দর্শকরা ব্যপক উৎসাহ নিয়ে সিনেমাটি দেখতে হলে গিয়েছে। পুজোর পর নিউইয়র্ক, নিউ জার্সি ও টেক্সাসের কয়েকটি সিনেমা হলে ”মাটি” সিনেমাটি প্রদর্শিত হবে। এসময় সিনেমার পচিালক লিনা গাঙ্গুলি নিউইয়র্ক আসবেন। তিনি জানান, ”মাটি” সিনেমাটি বাংলাদেশের কাহিনীর উপর নির্মিত। এজন্য এ ছবিটি দেখার জন্য দর্শদের মধ্যে ব্যপক আগ্রহ আছে। 
তিনি বলেন, মানুষ এখন নতুন ধারার বাংলা সিনেমা দেখতে চায়। সেই বিষয়টা মাথায় রেখেই যদি সিনেমা তৈরি করা হয় তাহলে প্রবাসেও বাঙালীরা হলে গিয়ে সিনেমা দেখতে আগ্রহী হবে। 

উপরে