শিরোনাম
জ্বলছে সুন্দরবন, আগুন নেভাতে ভোরের অপেক্ষা যুক্তরাষ্ট্রে ফিলিস্তিনপন্থিদের বিক্ষোভ জয় দিয়ে বিশ্বকাপ প্রস্তুতি শুরু বাংলাদেশের ইউরোপে তিন বছরে ৫০ হাজারের বেশি অভিবাসী শিশু নিখোঁজ পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল ভারত সরকারের সমালোচনামূলক গান, ইরানি র‍্যাপারের মৃত্যুদণ্ড যে গ্রামের বাসিন্দারা প্লেনে চড়েই অফিস-বাজারে যান! টিকটক নিষিদ্ধ হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২০টির বেশি অঙ্গরাজ্যে হুমায়ূন আহমেদ সাহিত্য পুরস্কার পেলেন ইমদাদুল হক মিলন ও মাহবুব ময়ূখ রিশাদ বিশ্বসেরার স্বীকৃতি পেল ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর দক্ষিণ ব্রাজিলে ৮০ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা নিভে গেল বাতিঘর..... গুগল-অ্যাপলকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ড অ্যামাজন পড়াশোনা শেষে ব্রিটেনে থাকতে পারবেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা
Update : 20 July, 2020 20:34
(অণু গল্প চা)

গালিবের অনুপস্থিতি...

গালিবের অনুপস্থিতি...

॥ শারমিন সুলতানা রীনা॥ 

সকালে ঘুম থেকে উঠেই আগে এক কাপ চা পান না করলে রিমির শরীর চলেনা।বিকল ইন্জিনের গাড়ির মতো হয়ে যায়।চা পান করার পর শরীর আস্তে আস্তে সচল হলে তার পর কাজে মনোযোগী হয়।

আজ সকালে চা বানাতে গিয়ে দেখে কৌটা খালি চা পাতা নেই।ঘরে গালিব ছাড়া অন্য কেউ নেই। যাকে দোকানে পাঠিয়ে চা পাতা আনিয়ে নেবে।কিন্তু গালিব বেঘোরে ঘুমাচ্ছে।
কাছে গিয়ে নরম সুরে ডাক দেয় রিমি।হুম বলে পাশ ফিরে শুতেই নরম গলা রিমির ধমকে পরিনত হয়।অবশেষে চোখ মেলে গালিব।

 ঃ কি হলো ভোরেই চিৎকার শুরু করে দিলে ঘরে ডাকাত পড়েছে নাকি?
 ঃ রাখো তোমার ডাকাত, চা পাতা নেই। উঠে দোকানে গিয়ে নিয়ে আসো।তুমি জানোনা ভোরে উঠেই আমাকে আগে চা খেতে হয়।
 ঃ জানিতো তবে একদিন না খেলে কি হয়?
রাগ তার  দ্বিগুণ বাড়ে।
 ঃ বিয়ের আগেতো বলেছিলে চাইলে আকাশের চাঁদটাও এনে দেবে।বিয়েটা যেই হয়ে গেলো কিছুই দিলেনা।
 ঃ চায়ের সাথে চাঁদের কি সম্পর্ক?  তোমাকেওতে  তখন দেখে মনে হয়েছিলো লক্ষীর প্রতিমা, বিয়ের পরে পুরোই কালীমাতার রূপ ধারণ করলে।
 ঃ এই শোন এখন আমার কথা বলার মুড নেই চুলায় জল বসানো  উঠে চা পাতা নিয়ে আসো।

কি আর করা বউয়ের আদেশ শিরোধার্য। মুখে পানির ঝাপটা দিয়ে দোকান থেকে চা পাতা নিয়ে আসে গালিব।

চায়ের টেবিলে দুজন অতীত জীবনের গল্পে বিভোর।প্রসঙ্গ পাল্টিয়ে রিমি জানায় আজ সন্ধ্যায় তার বান্ধবী শর্মীর জন্ম দিন।

 ঃ তুমিতো জানো শর্মী আমার বেষ্ট ফ্রেন্ড আমি চাই সব চেয়ে সেরা গিফট দিয়ে সবাইকে সারপ্রাইজ দেবো।
সারপ্রাইজটা তোমাকেই দিতে হবে কেন? সারপ্রাইজের প্রতিযোগিতায় নামছো বুঝি?
 ঃ ধুর কিযে বলো ও আমার বেষ্ট ফ্রেন্ড না?

কথা বাড়ায়না, গালিব জানে রিমি যা বলবে তাই করবে।হাতে টাকা নেই কিন্তু বলতে পারছে না।এখন অফিসে গিয়ে কলিগদের কাছ থেকে ধার করতে হবে।

 ঃ আমি বের হচ্ছি। অফিসে গিয়ে তোমার বিকাশ নং এ টাকা পাঠিয়ে দেবো যা খুশি করো।

 ঃ তুমি যাবেনা?
 ঃ অফিস আওয়ার শেষ হলে মিটিং আছে, যাওয়া হবেনা। 

গালিব যাবেনা ভেবে রিমির মনটাও কেমন  হয়ে যায়। অন্যমনস্ক হয়ে চা খেতে গিয়ে জিভ পুড়ে যায় গালিবের।সকালের চায়ের স্বাদ বিস্বাদে পরিণত হয়।উঠে যায় গালিব আর কিছু শোনার আগেই তাকে বেড়িয়ে পরতে হবে অফিসের উদ্দেশ্যে।।।

.........................................

লেখক: শারমিন সুলতানা রীনা

কবি ও লেখক, ঢাকা

উপরে