শিরোনাম
পাকিস্তানের কাছে ৪.৩২ বিলিয়ন ডলার ন্যায্য হিস্যা চাইলো বাংলাদেশ গ্রিনকার্ডধারীদের জন্য নতুন সতর্কতা যুক্তরাষ্ট্রের গিনিতে ফুটবল ম্যাচে সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে প্রায় ১০০ নিহত ট্রান্সজেন্ডাররা নয়, শুধু জন্মগত নারীরাই নারী: ব্রিটিশ আদালতের রায় ওয়াকফ বিলের প্রতিবাদে উত্তাল কলকাতা দক্ষিণী নির্মাতার হাত ধরে খলনায়ক হয়ে ফিরছেন শাহরুখ ২০ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যাবে যাদের জিমেইল টিকটক নিষিদ্ধ হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২০টির বেশি অঙ্গরাজ্যে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন হান কাং বিশ্বসেরার স্বীকৃতি পেল ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর ডোমিনিকায় নাইটক্লাবের ছাদ ধসে নিহত বেড়ে ৯৮ নিভে গেল বাতিঘর..... গুগল-অ্যাপলকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ড অ্যামাজন পড়াশোনা শেষে ব্রিটেনে থাকতে পারবেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা
Update : 25 September, 2018 11:13

রোহিঙ্গাদের হত্যা-গণধর্ষণ সুপরিকল্পিত: মার্কিন রিপোর্ট

রোহিঙ্গাদের হত্যা-গণধর্ষণ সুপরিকল্পিত: মার্কিন রিপোর্ট
ফাইল ছবি
মেইল রিপোর্ট :

মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর দেশটির সেনাবাহিনী ব্যাপক হত্যা, গণধর্ষণ এবং অন্যান্য নৃশংসতা সুপরিকল্পিত ও সমন্বিতভাবে চালিয়েছে। সোমবার প্রকাশিত মার্কিন এক তদন্ত প্রতিবেদনে এমনটাই বলা হয়েছে।  

মার্কিন সরকারের বহু প্রত্যাশিত এই প্রতিবেদন সোমবার দেশটির পররাষ্ট্র বিভাগের ওয়েবসাইটে অনেকটা গোপনেই প্রকাশ করা হয়। ওই প্রতিবেদন প্রকাশ নিয়ে কোনও সংবাদ বিজ্ঞপ্তি বা সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়নি।

মার্কিন ওই প্রতিবেদনে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর অভিযানকে গণহত্যা বা মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে বর্ণনা করা হয়নি। বাংলাদেশের কক্সবাজারে শরণার্থী শিবিরে এক হাজারের বেশি রোহিঙ্গা নারী ও পুরুষের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে মার্কিন সরকার ওই প্রতিবেদন তৈরি করে।

২০ পৃষ্ঠার ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জরিপে দেখা গেছে উত্তরাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে চরম, বড় ধরনের, বিস্তৃত এবং আপাতদৃষ্টিতে রোহিঙ্গাদের ভয়ভীতি দেখানো ও উৎখাতের উদ্দেশ্যে সহিংসতা চালানো হয়েছে। সেখানে বলা হয়, সেনা অভিযানের ধরন ও মাত্রা ইঙ্গিত করে যে, ওই হামলা সুপরিকল্পিত ও সমন্বিত ছিল।

এর আগে আগস্ট মাসে জাতিসংঘের একটি স্বাধীন ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশন জানায়, গেলো বছর রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনী অভিযানে ব্যাপকহারে হত্যা, গণধর্ষণ ‘গণহত্যার উদ্দেশ্য’ নিয়েই চালানো হয়েছে। আর এজন্য মিয়ানমার সেনাবাহিনী প্রধানসহ আরও পাঁচ সেনা কর্মকর্তাকে মানবতাবিরোধী অপরাধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)-এ বিচারের মুখোমুখি করা উচিত বলে জানায় তারা।

তবে মিয়ানমারের দাবি যেহেতু তারা আইসিসির সদস্য নয়, তাই রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের জন্য তাদের বিচারের এখতিয়ার নেই। কিন্তু আইসিসি বলছে, বাংলাদেশ তাদের সদস্য এবং রোহিঙ্গারা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে দেশটিতে আশ্রয় নিয়েছে, তাই তারা মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের বিচার করতে পারেন।

উপরে