ঈদে নৌ নিরাপত্তায় জাতীয় কমিটির ১০ দফা সুপারিশ

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নৌপথে নিরাপদ যাতায়াতের লক্ষ্যে সারা দেশে অবিলম্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম শুরুসহ ১০ দফা সুপারিশ উত্থাপন করেছে নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি।
মঙ্গলবার সংবাদপত্রে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি হাজী মোহাম্মদ শহীদ মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে এই সুপারিশমালা উত্থাপন করেন। ভরা দুর্যোগ মৌসুমে আসন্ন ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে, এই বিবেচনা থেকে বাস্তবতার আলোকে সুপারিশগুলো তৈরি করা হয়েছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
সুপারিশগুলো হলো :
অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা রোধে সকল নদীবন্দর ও নৌপথে অবিলম্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম শুরু।
নৌ পরিবহন অধিদপ্তর ও বিআইডব্লিউটিএতে জরুরি ভিত্তিতে তিনজন করে অস্থায়ী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পদায়ন দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের সংখ্যা বৃদ্ধি।
পদ্মার শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি ও পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ফেরি ও লঞ্চ চলাচল সুশৃঙ্খল রাখতে পর্যাপ্তসংখ্যক র্যাব, পুলিশ ও আনসার মোতায়েন।
শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি ও পাটুরিয়া-দৌলতদিয়ায় লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী বহন কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ।
উপকূলীয়, হাওর ও পাহাড়ি জনপদে অবৈধ ও ত্রুটিপূর্ণ নৌযান চলাচল বন্ধে জেলা ও পুলিশ প্রশাসনকে সম্পৃক্তকরণ।
গুরুত্বপূর্ণ নৌপথসমূহে কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশের তৎপরতা জোরদারকরণ।
টার্মিনাল ও গুরুত্বপূর্ণ ঘাটগুলোতে বড় পর্দায় ও লাউড স্পিকারে এবং বেতার-টেলিভিশনে প্রতি ঘণ্টায় আবহাওয়া বার্তা প্রচার।
লঞ্চ ও স্টিমারসহ সব ধরনের যাত্রীবাহী নৌযানে প্রয়োজনীয় সংখ্যক সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন।
সকল টার্মিনালের শৌচাগার ও ওজুখানায় পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থাসহ পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিতকরণ।
যাত্রীবোঝাই লঞ্চ ছাড়ার আগ মুহূর্তে ভিডিওচিত্র ধারণ করে সংশ্লিষ্ট টার্মিনাল বা ঘাট কর্তৃপক্ষের কাছে সংরক্ষণ।
বিবৃতিতে নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির সভাপতি হাজী মোহাম্মদ শহীদ মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে বলেন, দূরপাল্লার সড়কে তীব্র যানজটসহ সারা বছর যে হারে দুর্ঘটনা ঘটছে, তাতে উপকূলীয় জনপদের মানুষ নৌপথকেই প্রাধান্য দেবে। ফলে লঞ্চ-স্টিমারসহ নৌযানে যাত্রীর চাপ অনেক বেড়ে যাবে। এ ছাড়া, ভরা দুর্যোগ মৌসুম চলছে। তাই জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আগাম সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
বিবৃতিতে জননিরাপত্তার স্বার্থে ১০ দফা সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বান জানানো হয়।