
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে ১০ দিন পিছিয়ে যাচ্ছে ২০১৯ সালের বই উৎসব। বছরের প্রথম দিনের পরিবর্তে ১০ জানুয়ারি বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তক বিতরণকে কেন্দ্র করে এ বই উৎসব হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর কারণ হিসেবে তারা বলছেন, বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ এবং সারা দেশে বই প্রায় পৌঁছে গেছে। কিন্তু ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচন হলে স্বাভাবিকভাবে পরদিন ক্লাস বন্ধ থাকতে পারে। তাই বই উৎসব পেছানো হচ্ছে। ১ জানুয়ারির পরিবর্তে ১০ জানুয়ারি পাঠ্যপুস্তক উৎসব আয়োজন করা হতে পারে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নির্ভর করছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর। প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি ও তারিখ পাওয়া সাপেক্ষে বিষয়টি চূড়ান্ত হবে। তবে আপাতত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ১০ জানুয়ারি তারিখকে বই উৎসবের জন্য প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত করা হয়েছে। বিষয়টি পাঠ্যপুস্তকের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন অধিদপ্তর ও বোর্ডকেও অবহিত করা হয়েছে।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহা বলেন, পয়লা জানুয়ারিতে জাতীয় পাঠ্যপুস্তক উৎসব পালন করা সম্ভব হবে না। কারণ, আগামী ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচনের কারণে ১ জানুয়ারিতে পাঠ্যপুস্তক উৎসব পালন করা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। নির্বাচনের পরের দিন দেশের সব বিদ্যালয় বন্ধ থাকবে। এ সময় সবাই নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন।
সারা দেশে ৯৫ শতাংশ বই পৌঁছে গেছে, উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০১৯ শিক্ষাবর্ষে সারা দেশের ৪ কোটি ২৬ লাখ ১৯ হাজার ৮৬৫ জন শিক্ষার্থীর হাতে বিনামূল্যের পাঠ্যবই বিতরণ করা হবে। আমাদের সব প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। যে তারিখই চূড়ান্ত হয় আমরা কাজ করে যাব।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (বিদ্যালয়) জাবেদ আহমেদ বলেন, নির্বাচন পরবর্তী পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে পাঠ্যবই বিতরণের দিনক্ষণ ঠিক করা হবে। দুই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীদের নিয়ে বই উৎসবের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। নির্বাচনের পরে কোনো মন্ত্রী থাকবে না। কে উদ্বোধন করবেন- এটি নিয়েও সিদ্ধান্তের বিষয় রয়েছে। তাই নির্ধারিত সময়ের কয়েক দিন পর পাঠ্যপুস্তক উৎসবের আয়োজন করা হবে।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সাল থেকে প্রতিবছর ১ জানুয়ারি বই উৎসব হয়ে আসছে।