শিরোনাম
পাকিস্তানের কাছে ৪.৩২ বিলিয়ন ডলার ন্যায্য হিস্যা চাইলো বাংলাদেশ গ্রিনকার্ডধারীদের জন্য নতুন সতর্কতা যুক্তরাষ্ট্রের গিনিতে ফুটবল ম্যাচে সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে প্রায় ১০০ নিহত ট্রান্সজেন্ডাররা নয়, শুধু জন্মগত নারীরাই নারী: ব্রিটিশ আদালতের রায় ওয়াকফ বিলের প্রতিবাদে উত্তাল কলকাতা দক্ষিণী নির্মাতার হাত ধরে খলনায়ক হয়ে ফিরছেন শাহরুখ ২০ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যাবে যাদের জিমেইল টিকটক নিষিদ্ধ হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২০টির বেশি অঙ্গরাজ্যে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন হান কাং বিশ্বসেরার স্বীকৃতি পেল ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর ডোমিনিকায় নাইটক্লাবের ছাদ ধসে নিহত বেড়ে ৯৮ নিভে গেল বাতিঘর..... গুগল-অ্যাপলকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ড অ্যামাজন পড়াশোনা শেষে ব্রিটেনে থাকতে পারবেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা
Update : 22 February, 2018 01:59

পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি বই পড়ুয়াদের অন্যতম লুইজ ব্রাউন

পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি বই পড়ুয়াদের অন্যতম লুইজ ব্রাউন
পরিবারে লুইজ ব্রাউন
মেইল রিপোর্ট :

বই পড়তে ভালোবাসেন অনেকেই। কিন্তু একবার ভেবে দেখেন তো সারাজীবনে কতগুলো বই পড়েছেন? আর কতগুলো বই এক বছরে পড়তে পারবেন? বই পড়াটা কেবল মজার ব্যাপার নয়, এর সম্পর্কে এমন অনেক খুঁটিনাটি বিষয় আছে যেগুলো জানাটাও বেশ মজার।

বইয়ের মাস আর বইমেলার মাস ফেব্রুয়ারি শেষ পর্যায়ে। তাহলে এ মাসেই জেনে নিই কোন ব্যক্তি পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি বই পড়েছেন। 

পৃথিবীতে কে সবচাইতে বেশি বই পড়েছেন সেটা নিয়ে দ্বিধা থাকতেই পারে। তবে ব্রিটেনের ৯১ বছর বয়সী লুইজ ব্রাউনকে পৃথিবীর সেরা বই পড়ুয়াদের একজন বলা যেতেই পারে।

ঠিক কতগুলো বই পড়েছেন এই নারী? এক হাজার নয়, দুই হাজার নয়, জীবনে তিনি ২৫ হাজার বই পড়েছেন।তাও আবার এসব বই তিনি গ্রন্থাগার থেকে নিয়ে পড়েছেন। এর বাইরে আরও যেসব বই পড়েছেন সেগুলোর হিসেব এখনও করা হয়নি।

লুইজের বই পড়া শুরু সেই ১৯৪৬ সাল থেকে।তখন মাত্র পাঁচ বছর বয়স। বাবা মার হাত ধরেই তার বই পড়া শুরু।

প্রতি সপ্তাহে প্রায় ডজনখানিক  বই পড়েন তিনি। আর  গ্রন্থাগারে কখনো তার বইগুলো ফিরিয়ে দিতে একটুও দেরি হয়নি। ঠিক সময় আর নিয়ম মেনেই বই পড়া শেষ করতেন এই নারী।

চোখে সামান্য সমস্যা থাকার কারণে পড়ার ক্ষেত্রে সবসময় একটু বড় অক্ষরের বইগুলোকেই বেছে নিয়েছেন লুইজ।  গ্রন্থাগারেরর পরিচালক বলেন, টানা ৬০ বছর ধরে এমন অভ্যাস চালু রাখায় লুইজের নাম রেকর্ড বুকে যেতে খুব একটা সময় লাগবে না।

পড়াশোনার ক্ষেত্রে খুব একটা বাছবিচার নেই লুইজের। তবে পারিবারিক কাহিনী এবং ঐতিহাসিক বই পড়তে বেশি ভালো লাগে বলে জানান লুইজ।  পাশাপাশি হালকা মেজাজের, যুদ্ধ নিয়ে লেখা বইগুলোও পড়ে থাকেন তিনি।

লুইজ ব্রাউনের মেয়ে লুইজ প্রাইড মায়ের ব্যাপারে জানান, সারাদিন এত বই পড়ার পরেও মা অনেক বেশি পড়তে চান।  খবরের কাগজ পড়তে এবং টেলিভিশন দেখতেও দেখা যায় তাকে।

গত ছয় যুগ ধরে প্রতি ছয়দিনে ছয়টি বই পড়েছিলেন লুইজ। তবে কয়েক বছর ধরে সেই অভ্যাস পালটে গিয়ে এখন প্রতি সাতদিনে বইয়ের সংখ্যাটি গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১২টি।

 

 

 

নিউইয়র্ক মেইল/ব্রিটেন/২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/এইচএম

উপরে